আলোর বিচ্ছুরণ কাকে বলে

বিচ্ছুরণ কাকে বলে?

প্রিজম বা প্রিজমের মত কোন স্বচ্ছ মাধ্যম দিয়ে যৌগিক বর্ণের আলো (সাদা আলো) প্রতিসরণের ফলে তা বিশিষ্ট হয়ে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের আলোর পটিতে বিভক্ত হয়ে যায়। একে বলা হয় আলোর বিচ্ছুরণ

আলোর বিচ্ছুরণের প্রকারভেদ

আলোর বিচ্ছুরণ

আলোর বিচ্ছুরণ দুই (২) প্রকারের হয় –

  • প্রাকৃতিক বিচ্ছুরণ
  • কৃত্রিম বিচ্ছুরণ

প্রাকৃতিক বিচ্ছুরণ

প্রাকৃতিক বিচ্ছুরণ - রামধনু
প্রাকৃতিক বিচ্ছুরণ - রামধনু / রংধনু

জলকণার সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে সূর্যালোকের সাতটি বর্ণে বিশিষ্ট হয়ে গিয়ে রামধনু সৃষ্টি হয় – ই ঘটনা এক প্রকার বিচ্ছুরণের উদাহরণ। এটি হল প্রাকৃতিক বিচ্ছুরণ।

রামধনু

রামধনু – আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ

বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর আকাশে ভাসমান জলবিন্দুর সঙ্গে সূর্যের আলোর সংঘর্ঘের ফলে, সূর্যের বিপরীত দিকের আকাশে যে রঙের পটি দেখা যায়, তাকে রামধনু বলা হয়।

রামধনু কীভাবে সৃষ্টি হয়?

সূর্যের আলো যখন বাতাসে ভাসমান জলের বিন্দুর সঙ্গে সংস্পর্শে আসে, তখন সেই আলো প্রতিফলিত হয় (কারণ, বাতাস ও জলের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা)।

প্রতিফলনের ফলে সূর্যের আলো, তার গঠনকারী বিভিন্ন বর্ণে বিশ্লেষিত হয়ে যায়। বর্ণের ক্রম হয় – লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, আকাশি, বেগুনী।

সূর্যের আলো যখন বাতাসে ভাসমান জলের বিন্দুর সঙ্গে সংস্পর্শে আসে, তখন সেই আলো প্রতিফলিত হয় (কারণ, বাতাস ও জলের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা)।

প্রতিফলনের ফলে সূর্যের আলো, তার গঠনকারী বিভিন্ন বর্ণে বিশ্লেষিত হয়ে যায়। বর্ণের ক্রম হয় – লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, আকাশি, নীল, বেগুনী।

রামধনু সৃষ্টি হওয়ার পিছনে আলোর যে যে ধর্ম বর্তমান, তা হল –

  • আলোর বিচ্ছুরণ
  • আলোর প্রতিসরণ
  • আলোর পূর্ণ প্রতিফলন
রামধনুর প্রকারভেদ
রামধনু প্রধাণত ২ প্রকারের হয় –
  1. প্রাথমিক রামধনু
  2. গৌণ রামধনু
এছাড়াও আরও এক ধরণের রামধনু দেখা যায়, যথা – দ্বি-রামধনু, ইংরাজীতে যাকে বলা হয় Double Rainbow। 
প্রাথমিক রামধনু

প্রাথমিক রামধনুতে রামধনুর বাইরের দিকে থাকে লাল রং এবং ভিতরের দিকে থাকে বেগুনী রং।

গৌণ রামধনু

গৌণ রামধনুতে রামধনুর বাইরের দিকে থাকে বেগুনী রং এবং ভিতরের দিকে থাকে লাল রং।

কৃত্রিম বিচ্ছুরণ

প্রিজম দ্বারা আলোর বিচ্ছুরণের রেখাচিত্র
প্রিজম দ্বারা কৃত্রিম বিচ্ছুরণ (Credit: Wikimedia)

প্রিজমের মধ্যে দিয়ে যৌগিক আলো (সাদা আলো) সাতটি গঠনগত বর্ণে বিভক্ত হয়ে যায়, এই প্রকার বিচ্ছুরণকে বলা হয় কৃত্রিম বিচ্ছুরণ।

কোন বিজ্ঞানী, কবে আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন?

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৬৬৬ সালে আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন

বিচ্ছুরণ কেন ঘটে / বিচ্ছুরণ ঘটার কারণ:

সাদা আলো বা যৌগিক আলো হলো বিভিন্ন পৃথক পৃথক বর্ণের সমাহার (বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল)।
এই প্রতিটি বর্ণের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা হওয়ায় এগুলি মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আলাদা আলাদা গতিবেগ নিয়ে চলে। তাই প্রিজম বা ওরকম কোন স্বচ্ছ মাধ্যম দ্বারা প্রতিসরণের পর আলাদা আলাদা বর্ণের আলাদা আলাদা চ্যুতি ঘটে। একারণেই বিচ্ছুরণ ঘটে।

বিষয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন: (FAQ)

  • আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও

    Answer: রামধনু বা রংধনু হল আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ।

  • কোন বিজ্ঞানী আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন?

    Answer: বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন।

Reference:

দুয়ারী, গাঙ্গুলি, মাইতি – ছায়া ভৌতবিজ্ঞান

Last edited: 04.07.2023 | Revised throughout

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *