এই পোষ্টে জোয়ার সৃষ্টির প্রধান কারণ নিয়ে বিষদে আলোচনা করা হয়েছে।জোয়ার সৃষ্টির প্রধান কারণ
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পৃথিবীর বৃহৎ জলাশয় (যেমন নদী, সমুদ্র, মহাসাগর) ইত্যাদির জলরাশির স্বাভাবিক ফুলে ওঠা এবং স্বাভাবিক নেমে যাওয়ার ঘটনাকে বলে জোয়ার ভাটা।
পৃথিবীতে প্রত্যহ ঘটে যাওয়া স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর মধ্যে অন্যতম হল জোয়ার ভাটা হওয়া।
জোয়ার কি / জোয়ার কাকে বলে?
জলরাশির স্বাভাবিক ফুলে ওঠার ঘটনা জোয়ার নামে পরিচিত।
এবং,
পড়ুন – ভরা কোটাল ও মরা কোটাল কাকে বলে
ভাটা কি / ভাটা কাকে বলে?
জলরাশির স্বাভাবিক নিচে নেমে যাওয়ার ঘটনা ভাটা নামে পরিচিত।
নিচে জোয়ার ভাটা হওয়ার কারণগুলি উল্লেখ করা হল –
জোয়ার ভাটা সৃষ্টির কারণ
জোয়ার ভাটা হওয়ার কারণসমূহ
- চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ বল।
- পৃথিবীর কেন্দ্রমুখী / কেন্দ্রাতিগ বল।
পড়ুন – অতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলনের প্রভাব
এছাড়াও জোয়ার ভাটা সৃষ্টির অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
- সমুদ্র বা মহাসাগরের জলরাশি উষ্ণতা।
- সমুদ্র সৈকতের ঢাল । ইত্যাদি।
জোয়ার ভাটা সৃষ্টির মূল কারণ হল
তবে বিভিন্ন কারণগুলির মধ্যে, জোয়ার ভাটা সৃষ্টির মূল কারণ হল –
✅ চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত আকর্ষণ বল।
চাঁদ এবং সূর্য উভয়েই পৃথিবীর ওপর আকর্ষণ বল প্রয়োগ করে। পদার্থবিদ্যায় নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র থেকে জানা যায়, যে বস্তুর ভর যত বেশি তার আকর্ষণ বলের প্রভাব তত বেশি।
নিউটনের সূত্রে এও বলা রয়েছে, যে বস্তু যত দূরে অবস্থিত তার আকর্ষণ বলের প্রভাব তত কম।
অর্থাৎ কোন বস্তু যত ভারি হবে পৃথিবীর ওপর তার আকর্ষণ বলের প্রভাব তত বেশি হবে এবং কোন বস্তু পৃথিবী থেকে যত দূরত্বে অবস্থান করবে তার আকর্ষণ বলের প্রভাব তত কম হবে।
কিন্তু, বস্তুর ভরের তুলনায় বস্তুর দূরত্ব আকর্ষণ বলের ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করে। এজন্য সূর্য চাঁদের থেকে বহুগুণ ভারী হলেও যেহেতু সূর্য চাঁদের তুলনায় পৃথিবী থেকে বহু দূরে অবস্থিত তাই পৃথিবীর জলরাশির উপর সূর্যের থেকে চাঁদের প্রভাব বেশি।
অতএব সিদ্ধান্তে আসা যায়, জোয়ার ভাটা সৃষ্টির মূল কারণ সূর্য ও চাঁদের মিলিত আকর্ষণ বলের প্রভাব হলেও চাঁদের আকর্ষণ বল জোয়ার ভাটা সৃষ্টির প্রধান কারণ।