নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের

নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের – কিভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল ? তপনের প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু কিভাবে খুলেছিল?

নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।

আজকের এই নিবন্ধে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যথাযথ আলোচনা করব। কোন প্রসঙ্গ থেকে এমন উক্তির অবতারণা, কিভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল, তপনের প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু কিভাবে খুলেছিল – ইত্যাদি সকল প্রশ্ন এবং আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে আজকের এই নিবন্ধ আলোচনা করা হবে।

বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে আমরা তপন চরিত্রটির সঙ্গে পরিচিত হই।

জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে আমরা জানতে পারি বালক তপনের লেখক সম্পর্কে নিজের ধারণা রয়েছে সে ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। তার এই ভুল ধারণার প্রধান কারণ এই যে সে আগে কোন লেখাকে স্বচক্ষে দেখেনি।

কিন্তু ছোট মাসির বিয়ের পর তপন ছোট মেসোমশাই এর দেখা পায়। ছোট মেসো একজন লেখক। ছোট মেসো কে দেখার পর লেখক সম্পর্কে সব ভ্রান্ত ধারণা বদলে যায় তপনের। এই প্রসঙ্গ ধরেই আশাপূর্ণা দেবীর গল্পে এমন উক্তি।

নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের

বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত গল্প জ্ঞানচক্ষু থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিতে নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য অংশে জ্ঞানচক্ষু কথার মাধ্যমে বাস্তব দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে।

বালক তপনের সাহিত্য অনুরাগ এর কথা আমরা এই গল্প থেকে জানতে পারি। আমরা এও জানতে পারি ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের গল্প পাঠ করার ফলেই লেখকদের সম্পর্কে তপনের মনে এক ধারণা জন্মায়। যদিও সেই ধারণার সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই।

তপনের কল্পনা অনুযায়ী লেখকরা ছিল ভিনগ্রহের প্রাণী – তার মনে হতো লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোন জীব।

ছোটমাসির বিয়ের পর লেখক সম্পর্কে তপনের ধারণা বদলে যায়। তপন অবগত হয় – লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোন জীব নয়। তারা আর ৫ টা সাধারণ মানুষের মতই মানুষ।

তপনের বাবা-কাকার মত ছোটমেসোও দাড়ি কামান, স্নান করেন, ঘুমাতে যান। এমনকি খবরের কাগজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রবল ভাবে তর্কও করেন – আবার তর্ক শেষে এও বলেন – এদেশের আর কিছুই হবে না।

তপনের মনে লেখক সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ছিল, ছোট মেসো কে দেখে কয়েক দিনের মধ্যে শেভান্ত ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। তখন বুঝতে পারে লেখকরা কোন ভিনগ্রহের জীব নয়। এই বুঝে ওঠার মাধ্যমে তপনের জ্ঞানচক্ষু প্রথম উন্মীলন হয়।

জ্ঞানচক্ষুর দ্বিতীয়বার উন্মীলন

লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তপন ভাবে যে লেখকরা যেহেতু তাদের মতোই সাধারণ মানুষ তাহলে সেও বোধহয় লেখক হতে পারবে।

সেই ভাবনা থেকেই সেও গল্প লিখতে শুরু করে এবং অবশেষে লিখেও খেলে একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প। ‘প্রথম দিন’ নামাঙ্কিত তাঁর এই গল্পের বিষয় ছিল – স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা।

গল্প পড়ার পর মেসোমশাই তপনের প্রশংসা করেন এবং ছোট মাসির অনুরোধ কে অস্বীকার না করতে পেরে আপনি কি প্রতিশ্রুতি দেন তিনি এই গল্প সন্ধ্যাতারা নামক পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন।

গরমের ছুটি শেষ হয়ে যাবার পর বাড়ি চলে এসে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প ছাপার কালি তে প্রকাশিত হওয়ার দিন গুনতে থাকে তপন। অবশেষে একদিন মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে স্বামীর বাড়িতে আসলে তখন বুঝতে পারে তার লেখা গল্প সত্যি সত্যি পত্রিকায় কালির অক্ষরে ছাপা হয়েছে।

এই কথা শোনার পর তপনের আর আনন্দের সীমা থাকে না। কিন্তু তার এই আনন্দ কিছুক্ষণের মধ্যেই হ্রাস পায় যখন বাড়িতে সবাই গল্প ছাপা হওয়ার পেছনে তপনের থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে থাকে মেসোমশাই এর ভূমিকাকে।

অবশেষে তপন নিজের গল্প হাতে পেলে মা তাকে গল্প করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু গল্পের দিকে তাকিয়েই স্তম্ভিত হয়ে যায় তপন। সে বুঝতে পারে এই গল্পের কোন লাইনই তার লেখা নয়। সিইউ উপলব্ধি করে মেসোমশাই গল্প কালেকশন এর নামে আগাগোড়া পরিবর্তন করে দিয়েছেন।

এই ঘটনায় স্তম্ভিত তপন রাগে-দুঃখে অভিমানে প্রতিজ্ঞা করে পরবর্তীকালে কোন সময় গল্প ছাপাতে দেওয়ার দরকার হলে সে নিজে থেকেই ছাপাতে দেবে। এর জন্য অন্য কারো সাহায্য নেবে না সে – তাতে সেই গল্প ছাপা হোক বা না হোক।

এভাবে তপনের প্রকৃত জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন ঘটে।

Frequently asked questions (FAQs):

১। বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের – কেন তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল ?

উত্তর: নিজেদের বাড়িতে ছোট মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে আসতে দেখে তপনের বুকের রক্ত ছলকে উঠেছিল। সে অনুমান করেছিল মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে আসা মানেই পত্রিকায় তার গল্প ছাপা হয়েছে।

২। তপনের লেখা গল্পটির নাম কি ?

উত্তর : লেখা গল্পটির নাম হল ‘প্রথম দিন’।

৩। তখন কোন বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছিল ?

উত্তর: তখন তার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে জীবনের প্রথম গল্প লিখেছিল।

এই নিবন্ধে প্রখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন –

নতুন মেসো কে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের – কিভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল ? তপনের প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু কিভাবে খুলেছিল?

এই প্রশ্নের উত্তর ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আশা করা যায় যে সকল ছাত্র-ছাত্রী বা অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিবর্গ – জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে – ‘কিভাবে তপনের প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু খুলে ছিল’ বা ‘তপনের জ্ঞানচক্ষু কিভাবে উন্মীলিত হল’ এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর সন্ধান করছিলেন তার এই নিবন্ধ প্রদত্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তরটির মাধ্যমে বিশেষ উপকৃত হবেন।

আমরা চেষ্টা করেছি আলোচ্য প্রশ্ন-উত্তরটিকে যথাযত-নির্ভুল ভাবে এবং যথেষ্ট সহজ ভাষায় লেখার।

এই নিবন্ধে যদি কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল থেকে যায় তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী –  যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি এমন অনিচ্ছাকৃত কোনো ভুল খুঁজে পান তাবে তিনি এই নিবন্ধের নিচে থাকা ‘Comment’ অংশের মাধ্যমে আমাদেরকে সেই ভুল সম্পর্কে অবগত করতে পারেন। আমরা আমাদের পক্ষ অবশ্যই সেই ভুলটি কে দ্রুত সংশোধনের ব্যবস্থা করব।

মূল প্রশ্নটির শেষে আমরা মূল প্রশ্ন এবং বিশেষ করে এই গল্প সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্ন এবং তার যথাযথ উত্তরসমূহ সংকলিত করেছি, যাতে যে সকল সকল শিক্ষার্থীরা মূল প্রশ্ন টি সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছিল,তারা এই প্রশ্নগুলি সম্পর্কেও অবগত হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *