জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে পারমাণবিক শক্তির সুবিধা

বিভিন্ন অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য শক্তি হল পারমাণবিক শক্তি। প্রচলিত শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে পারমাণবিক শক্তির সুবিধা বিস্তার।

এই ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে পারমাণবিক শক্তির নিজস্ব সুবিধা গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নিচে, জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় পারমাণবিক শক্তির সুবিধা গুলি বর্ণনা করা হল।

গ্রিনহাউস গ্যাসের কম উৎপাদন:

জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ঘটানোর প্রয়োজন হয়। এই দহন ঘটার কালে কার্বন ডাই অক্সাইড – এর মত বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস। কিন্তু, পারমাণবিক শক্তিকক্ষে (নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টারে) শক্তি উৎপাদন হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন পদ্ধতিতে। এইজন্য পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন করার সময় কার্বন ডাই অক্সাইডের মতন কোন প্রকার গ্রীন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন হয় না। অর্থাৎ, জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করলে গ্রীন হাউজ গ্যাস অনেক কম মাত্রায় উৎপন্ন হয়।

কম পরিমাণ জ্বালানির দহন:

একই পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে পাওয়া তাপবিদ্যুৎশক্তি এবং তেজস্ক্রিয় পরমাণু থেকে পাওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎশক্তি সমান নয়। এর কারণ – জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় পারমাণবিক জ্বালানি অনেক বেশি শক্তি ঘনত্ব বিশিষ্ট (জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় পারমাণবিক চেলেনি প্রায় ১০ লক্ষ গুণ বেশি শক্তি ঘনত্ব সম্পন্ন)। অর্থাৎ, সমপরিমাণ জালানির দহনে জীবাশ্ম জ্বালানি অপেক্ষা পারমাণবিক জ্বালানি বেশি শক্তি উৎপাদন করে

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এক কিলোগ্রাম পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) প্রায় ২০০০ টন কয়লার সমান শক্তি উৎপাদন করে।

যেহেতু, সমপরিমাণ শক্তির উৎপাদন করার জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি অপেক্ষা পারমাণবিক জ্বালানি অনেক কম পরিমাণে ব্যবহার করতে হয়। তাই এটি ব্যবহার করা আরও বেশি সুবিধাজনক।

কম জল অপচয়:

কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ প্রদান করার আগে জ্বালানিকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়, যাতে কয়লা থেকে বিভিন্ন প্রকার অশুদ্ধি দূর করে নেওয়া যায়। কয়লা জন্য প্রচুর পরিমাণে জল অপচয় হয়। কিন্তু, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানির ধৌতকরণের প্রয়োজন হয় না, এজন্য জলেরও অপচয় হয় না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *