আজ তোমাদের একটি জবর খেলা দেখাব – উৎস
আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি কথা-সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ রচিত ‘বহুরূপী’ গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন – আজ তোমাদের একটি জবর খেলা দেখাব – প্রসঙ্গ
আজ তোমাদের একটি জবর খেলা দেখাব – বক্তা
‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে, প্রশ্নোদ্ধত লাইনটি বলেছিলেন হরিদা নিজেই।
আজ তোমাদের একটি জবর খেলা দেখাব – যাদেরকে বলেছিলেন
প্রশ্নোধৃত কথাটি হরিদা তার বন্ধুদের উদ্দেশ্যে করেছিলেন।
ক্লাস ১০ এর বাংলা বিষয়ে সমস্ত ধরণের প্রশ্ন দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন
জবর খেলা
জগদীশবাবু নামে পাড়ার এক ধনী মানুষের বাড়িতে হিমালয় থেকে এক সন্ন্যাসী আসার খবর পান হরিদা। সন্ন্যাসী পদধূলির দুর্লভতার ব্যাপারে জানতে পেরে হরিদা বেশ অভিভূত হন। তার সঙ্গীদের জানান যে তিনি জগদীশবাবুর বাড়িতে এক ‘জবর খেলা’ দেখাবেন।
সেই দিন স্নিগ্ধ চন্দ্রালোকিত সন্ধ্যায় এক ধবধবে সাদা উত্তরীয় ও ছোট বহরের একটি সাদা থান পরে জগদীশবাবুর বাড়িতে হাজির হন হরিদা। ঝোলার ভেতর থেকে গীতা বের করে নিজের মনেই হাসেন তিনি।
বৈরাগীর বেশ-ভূষা এবং বাণীতে মুগ্ধ হয়ে যান জগদীশবাবু। তিনি নিজেকে মহারাজ নয়, বরং ‘এককণা ধূল’ বলে অভিহিত করেন। জগদীশবাবু তাঁর সেবা করতে চাইলে তিনি শুধুমাত্র এক গ্লাস জল চেয়েই ক্ষান্ত হন।
এরপর জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর বাড়িতে কিছুদিন থাকার জন্য অনুরোধ করলে তিনি সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন –
‘বাইরে খোলা আকাশ থাকতে আর ধরিত্রীর মাটিতে স্থান থাকতে আমি এক বিষয়ীর দালান বাড়ির ঘরে থাকবো কেন, বলতে পারেন?’
এমনকি বিরাগী চলে যাওয়ার সময় জগদীশবাবু তাকে তীর্থযাত্রার জন্য ১০০ টাকার একটি থলি দিলে বিরাগী সেটা নিতেও অস্বীকার করেন। তিনি জগদীশবাবুকে এও বলেন, যেহেতু সব তীর্থ তার মনের মধ্যে তাই তার কোন তীর্থে চাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আসলে বিরাগীর বেশ ধারণ করেছিলেন বহুরূপী হরিদা। বিরাদী বেশে জগদীশবাবুর বাড়িতে যাওয়া সেখানে গিয়ে এই বিরাগীর অভিনয় করাকেই হরিদা জবর খেলা বলেছিলেন