ভূমিকা :
আলোচ্য উদ্ধৃতিটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত গুরু নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নোধৃত উক্তিটির বক্তা দাদাঠাকুর। ‘গুরু’ নাটকে মহাপঞ্চক যখন প্রশ্ন করে ‘তুমি গুরু? তবে এই শত্রুবেশে কেন?’, তখন ‘এই তো আমার গুরুর বেশ’ উক্তিটি দাদাঠাকুর যুনকদের উদ্দেশ্যে করেন।
আরও পড়ুন – শিলা জলে ভাসে – কে, কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছিল

গুরুর বেশের বর্ণনা :
দাদাঠাকুর যোদ্ধার বেশ ধারণ করে যূনকদের সঙ্গে অচলায়তনে গিয়েছিলেন সেই সংস্কার-আচ্ছন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাচীর ভেঙে তার আবাসিকদের সংস্কার আচ্ছন্নতা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য।
তিনি যোদ্ধৃবেশে সজ্জিত হলেও অচলায়তনে তিনি গুরু রুপে আবির্ভূত হয়েছেন।
আসলে তিনি এক অঙ্গে বিভিন্ন রূপ। কখনও তিনি যূনকদের দাদাঠাকুর, কখনও বা দর্ভকজাতির মানুষদের কাছে গোঁসাইঠাকুর আবার তিনিই যখন অচলায়তনে প্রবেশ করছেন, তখন তিনি গুরু।
তবুও, অচলায়তনের আবাসিক মহাপঞ্চক তাঁকে গুরু রূপে মেনে নিতে রাজি নয়। তাঁর অভিমত এই যে, যে মানুষ অচ্ছুৎ যূনক জাতির সঙ্গে থাকেন, তাদের নেতৃত্ব দেন, তিনি কখনোই তাদের গুরু হতে পারবেন না।
মহাপঞ্চক এও প্রশ্ন করেন – কেন তিনি অচলায়তনের প্রাচীর ভেঙে অচলায়তনে প্রবেশ করলেন?
উপসংহার :
তাঁর যেই বেশই হোক না কেন – তিনি চেয়েছেন অচলায়তনকে সংস্কার মুক্ত করতে। সমস্ত কুসংস্কার, গোঁড়ামি ইত্যাদি থেকে অচলায়তন এবং তার অধিবাসীদের মুক্ত করতে।