ফেরেলের সূত্র

বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে সোজাভাবে প্রবাহিত হওয়ার কথা। কিন্তু, প্রকৃতপক্ষে উচ্চচাপ অঞ্চলের থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বায়ু সোজাভাবে প্রবাহিত হয় না। এ নিয়ে বিজ্ঞানী ফেরেল যে সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন তাকে সূত্র ফেরেলের সূত্র বলা হয়।

ফেরেলের সূত্র : বিবৃতি

পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রভাবে উৎপন্ন কোরিওলিস বলের প্রভাবে উচ্চতা অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বায়ু সোজা পথে না প্রবাহিত হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে বেঁকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।

ফেরেলের সূত্র ব্যখ্যা [Ferrel's Law] - Post thumbnail [with diagram]

ফেরেলের সূত্র : আবিষ্কারক

আমেরিকাবাসী আবহবিদ উইলিয়াম ফেরেল এই সূত্র আবিষ্কার করেন। সূত্রটি আবিষ্কৃত হয় ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দ।

আরও পড়ুন:

জোয়ার সৃষ্টির প্রধান কারণ

ফেরেলের সূত্র থেকে কি জানা যায়:

ফেরেলের সূত্র থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং তৎসংলগ্ন বিভিন্ন তথ্য জানায়। এই সূত্র থেকে যেসব জিনিস সম্পর্কে জানতে পারা যায় তা নিচে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হল –

রেখাচিত্রের সাহায্যে ফেরেলের সূত্রের ব্যাখ্যা [Ferrel's Law Explained Using Diagram]

উচ্চ এবং নিম্নচাপ যুক্ত অঞ্চলে বায়ুর গতিবেগের দিক:

ফেরেলের সূত্র থেকে জানা যায় যে উত্তর গোলার্ধ নিম্নচাপ অঞ্চল ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে বিক্ষিপ্ত হয় এবং উচ্চচাপ অঞ্চল ঘড়ির কাটার দিকে বিক্ষিপ্ত হয়।
এর ঠিক উল্টোটা হয় দক্ষিণ গোলার্ধে। অর্থাৎ, দক্ষিণ গোলার্ধে নিম্নচাপ অঞ্চল ঘড়ির কাটার দিকে বিক্ষিপ্ত হয় এবং উচ্চচাপ অঞ্চল ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে বিক্ষিপ্ত হয়।
নিম্নচাপ এবং উচ্চচাপ অঞ্চলের এইরকম বিক্ষেপ পর্যালোচনা করে আবহাওয়াবিদরা ঝড় ঘূর্ণাবর্ত বৃষ্টি ইত্যাদি সম্পর্কে আরও উন্নত এবং নির্ভুল পূর্বাভাস দিতে পারেন।

কোরিওলিস বলের প্রভাব:

ফেরেলের সূত্র কোরিওলিস বলের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই পৃথিবীপৃষ্ঠে / বায়ুমন্ডলে কোন বস্তুর ওপর কোরিওলিস বলের কি প্রভাব পড়ে, তা ফেরেলের সূত্র থেকে জানা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *