CFL এর পুরো নাম হল compact fluorescent lamp. CFL বাতি কীভাবে কাজ করে তার সম্পূর্ণ আলোচনা এই পোস্টে করা হলো।
CFL বাল্বের / বাতির কার্যনীতি
CFL বাতি যে পদ্ধতিতে তড়িৎ শক্তির সাহায্যে আলোর উৎপন্ন করে সেই পদ্ধতিকে বলা হয় ফ্লুরোসেন্স প্রক্রিয়া। সিএফএল (CFL) বাতি কিভাবে কাজ করে তা জানার আগে ফ্লুরোসেন্স প্রক্রিয়া সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ফ্লুরোসেন্স প্রক্রিয়া
ফ্লুরোসেন্স হলো এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে কোন বস্তু একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলো গ্রহণ করে তার থেকে বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলো বিকিরণ করে। ওই নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শক্তি গ্রহণ করলে বস্তুটির মধ্যে থাকা অণুগুলি উত্তেজিত (excited) হয়ে ওঠে এবং তারপর যখন সেই অণুগুলি আবার স্বাভাবিক দশায় ফিরে যায়, তখন তারা আলো রূপে শক্তি বিকিরণ করে। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে অন্য প্রকার শক্তি আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
আরও পড়ুন – তড়িৎ প্রবাহের তাপীয় ফল সংক্রান্ত জুলের সূত্র
ফ্লুরোসেন্স পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে CFL বাতি কিভাবে কাজ করে?
ফ্লুরোসেন্স পদ্ধতিতে CFL বাতি থেকে আলো পাওয়ার জন্য কাজে লাগানো হয় তড়িৎশক্তি।
তড়িৎ শক্তির সাহায্যে CFL বাতির মধ্যে থাকা পারদ বাষ্পকে আয়নিত করে তোলা হয়। পারদ বাষ্প আয়নিত হলে এর থেকে নির্গত হয় অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মি।
CFL বালবের (বাতির) কাচের গায়ে থাকে ফসফরাসের আস্তরণ (কোটিং)। অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মি এই ফসফরাসের আস্তরণের গায়ে আঘাত করলে তা থেকে নির্গত হয় দৃশ্যমান আলো।
আরও পড়ুন – রোধের শ্রেণি সমবায়
CFL বাল্বে উৎপন্ন বর্ণের পরিবর্তন ঘটানো
CFL বাল্বের গায়ে প্রলিপ্ত ফসফরাসের উপাদানের পরিবর্তন ঘটিয়ে বাল্ব থেকে নির্গত আলোর বর্ণের পরিবর্তন ঘটানো যায়।
CFL বাল্বের যেমন বেশ কিছু সুবিধা আছে তেমনি CFL বাল্ব এর বেশ কিছু অসুবিধাও আছে।