অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে ? অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কীভাবে সৃষ্টি হয় ?

নদীর মধ্য বা নিম্নগতিতে নদী বাঁক অত্যাধিক বেড়ে গেলে বাঁকের মধ্যবর্তী অংশ মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘোড়ার খুঁড়ের মতো যে হ্রদের সৃষ্টি হয়, তাকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ বলে ।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ – এর উদাহরণ

মুরশিদাবাদ জেলায় ভাগরথী নদীর দুপাশে এরূপ অনেকে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় /

মুরশিদাবাদ জেলার মতিঝিল এরূপ হ্রদের উদাহরণ ।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ – এর বৈশিষ্ট

  • অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ নদীর ক্ষয় বহন ও সঞ্চয় তিন ধরণের কাজের মিলিত ফল ।

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কিভাবে তৈরি হয় /

অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ – এর উৎপত্তি

সমভূমিতে মধ্য বা নিম্ন প্রবাহে স্বল্প জলস্রোতে নিম্নক্ষয় যেমন বন্ধ হয় তেমনই পার্শ্বক্ষয় খুবই সামান্য পরিমাণে হয় । এমতো অবস্থায় –

i) নদী বাকের সংখ্যা বাড়তে থাকে ।

ii) দুটি বাঁক যখন খুব কাছাকাছি চলে আসে তখন বাকের মধ্যবর্তী অংশ দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ।

ii) পরিশেষে, বাকদ্বয়ের ব্যবধান বিলুপ্ত হলে প্রধান নদী সোজা পথে বয়ে চলে এবং পরিতক্ত বাকটির চারিপাশে পলি, বালি, কাঁদা জমে ঘোড়ার খুঁড়ের ন্যায় অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি করে ।

  • অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদকে উত্তর প্রদেশে তাল / কোর বলা হয় ।
  • একে মর্ট হ্রদও বলা হয়।
Searching Guide : অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ? অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কাকে বলে ? অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কী ?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *