আদর্শ জ্বালানির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ

আদর্শ জ্বালানী হল সেই সকল জ্বালানী যা থেকে প্রচুর পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায়, পোড়ানোর পর যথাসম্ভব কম অবশিষ্ট থাকে এবং যা সহজলভ্য।

নীচে আদর্শ জ্বালানির দুটি বৈশিষ্ট্য ব্যখ্যা করা হল –

আদর্শ জ্বালানির দুটি বৈশিষ্ট্য

উচ্চ শক্তি ঘনত্ব

আদর্শ জ্বালানীর শক্তি ঘনত্ব বেশি হতে হবে। অর্থাৎ এর প্রতি একক আয়তন দহনের ফলে অনেক পরিমাণ শক্তি পাওয়া যাবে। এর ফলে কম পরিমাণ জ্বালানী ব্যবহার করে বেশি পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়।

সম্পর্কিত: বায়োফুয়েল এর ব্যবহার লেখ

নূন্যতম অবশিষ্ট

আদর্শ জ্বালানি দহনের পর কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় অবশিষ্টের পরিমাণ হওয়া উচিত নূন্যতম। আদর্শ জ্বালানি দহনের ফলে সালফার অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড প্রভৃতি ক্ষতিকারক গ্যাসের উৎপাদন না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

গ্যাসীয় বর্জ্য পদার্থ ছাড়াও, আদর্শ জ্বালানি দহনের ফলে উৎপন্ন কঠিন অবশিষ্টের পরিমাণও নূন্যতম হওয়া উচিত।

সহজলভ্যতা

আদর্শ জ্বালানি হওয়া উচিত সহজলভ্য। অর্থাৎ এর মূল্য হওয়া উচিত কম এবং এর যোগান হওয়া উচিত অফুরন্ত / পর্যাপ্ত পরিমাণে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *