রসে মতানে ও ড্রামলিন উভয়ই হিমবাহ গঠিত সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ হলেও উভয়ের মধ্যেই বিস্তার পার্থক্য বর্তমান।
নিচে রসে মতানে এবং হিমবাহের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলি তুলে ধরা হল –
রসে মতানে কাকে বলে ?
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট উঁচু ঢিবির ন্যায় শিলাস্তূপকে রসে মতানে বলে।
ড্রামলিন কাকে বলে ?
হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ওলটানো চামচের ন্যায় শিলাস্তূপকে ড্রামলিন বলে।
আরও পড়ুন – মহাদেশীয় হিমবাহ ও উপত্যকা হিমবাহের পার্থক্য
রসে মতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য
বিষয় | রসে মতানে | ড্রামলিন |
সংজ্ঞা | হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট উঁচু ঢিবির ন্যায় শিলাস্তূপকে রসে মতানে বলে। | হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ওলটানো চামচের ন্যায় শিলাস্তূপকে ড্রামলিন বলে। |
বৈশিষ্ট | হিমবাহ যেদিকে প্রবাহিত হয় রসে মতানের সেই দিকে মসৃণ হয় এবং হিমবাহের প্রবাহের বিপরীত দিকে রসে মতানের অমসৃণ অংশ গঠিত হয়। | হিমবাহ যেদিকে প্রবাহিত হয় সেই দিকে ড্রিমলিনের অমুসৃণ অংশের সৃষ্টি হয় এবং হিমবাহের প্রবাহের বিপরীত দিকে ড্রিমলিনের মসৃণ অংশ গঠিত হয়। |
অবস্থান | রসে মতানে সাধারণত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়। | ড্রামলিন সাধারণত পার্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে দেখা যায়, |
আকৃতি | রসে মতানে উঁচু টিলার মতো দেখতে হয়। | ড্রামলিন উলটানো নৌকা বা ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো দেখতে হয়। |
সংখ্যা | রসে মতানে সাধারণত এককভাবে অবস্থান করে। | ড্রামলিন ঝাঁকে ঝাঁকে অবস্থান করে। একসঙ্গে বহু ড্রামলিন অবস্থান করলে দূর থেকে সেই ভূমিরূপকে ডিম ভর্তি ঝুড়ির মত মনে হয়। |
উচ্চতা | রসে মতানের উচ্চতা ড্রামলিনের তুলনায় বেশি হয়। রসে মতানের উচ্চতা হয় সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ মিটার। | ড্রামলিনের উচ্চতা তুলনায় রসে মতানের কম হয়। ড্রামলিনের উচ্চতা হয় সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার। |
নামের অর্থ | রসে মতানে একটি French শব্দ। রসে মতানে কথাটির অর্থ হল ভেড়ার মস্তক / মাথা। | ড্রিমলিন একটি Gaelic শব্দ। ড্রিমলিন কথাটির অর্থ হল ঢিবি। |
রসে মতানে কি?
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট উঁচু ঢিবির ন্যায় শিলাস্তূপকে রসে মতানে বলে।
ড্রামলিন কি?
হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট উঁচু ঢিবির ন্যায় শিলাস্তূপকে রসে মতানে বলে।
রসে মতানের উচ্চতা কত?
রসে মতানে সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ মিটার উঁচু হয়।
ড্রামলিনের উচ্চতা কত?
ড্রামলিন সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার উঁচু হয়।
এই নিবন্ধগুলিও পড়তে পারেন –
এই নিবন্ধগুলিও পড়তে পারেন –