‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’ – ১৫০ শব্দের মধ্যে
ভূমিকা
আলোচ্য লাইনটি বিখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
লেখক সর্ম্পকে তপনের ধারণা
জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল চরিত্র তপনের লেখক সম্পর্কে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা ছিল। তার এই ধারণার পরিবর্তন ঘটে যখন সে তার লেখক ছোটমেসো কে দেখতে পায়।
গল্প ছাপাতে দেওয়ার অনুরোধ
তপন তার জীবনের প্রথম গল্প লিখলে ছোটমাসির অনুরোধে মেসো তপনকে প্রতিশ্রুতি দেয় সেই গল্প ‘সন্ধ্যাতারা‘ পত্রিকায় ছাপাতে দেওয়ার।
অবশেষে একদিন ছোট মাসি এবং মেসো পত্রিকা হাতে বাড়িতে আসলে তপন জানতে পারে তার গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকাতে ছাপা হয়েছে।
পড়ুন – জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের চরিত্র
গল্প ছাপা হওয়ার পর তপনের প্রতিক্রিয়া
তপন গল্প ছাপা হওয়ার আনন্দে আত্মহারা তপন প্রথমে ভাবে খুব উচ্ছ্বসিত হলেও পরে যখন সে বুঝতে পারে যে আসলে ছাপানো গল্পটি তার লেখা নয় তখন তার সব আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
ছোট মেসো গল্প কালেকশনের বদলে সর্ম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে, তপনের নামে গল্প ছাপা হল ঠিকই, কিন্তু সেখানে তপনই নেই, তাই –
তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন
‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’ – ২০০ শব্দের মধ্যে
ভূমিকা
বিখ্যাত লেখিকা আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র হিসাবে আমরা পাই কল্পনাপ্রবণ বালক তপনকে।
লেখক সর্ম্পকে তপনের ভ্রান্ত ধারণা এবং ঘটনাবশত সেই ধারণার পরিবর্তন
ছোটবেলা থেকেই তপন লেখক-সাহিত্যিক সম্পর্কে ভুল ধারণা বশবর্তী। সে মনে করে লেখকরা বোধহয় আকাশ থেকে পড়া কোন জীব।
কিন্তু তপনের এই ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায় যখন সে তার সদ্য বিবাহিত ছোট মেসোর সম্পর্কে জানতে পারে। ছোট মেসো একজন প্রফেসর – তিনি লেখালেখিও করেন।
কিন্তু অবাক হয়ে তপন দেখে যে ছোট মেসো আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতোই মানুষ। মেসোকে দেখে তপন অনুপ্রাণিত হয় – তপনভাবে সে নিজেও মেসোর মতোই লিখতে পারবে।
তপনের গল্প লেখা
ভাবনা মত তপন গল্প লিখতে বসে লিখে ফেলে তার বিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আস্ত একটা গল্প। সেই গল্প তার মিশরের হাতে গেলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার।
গল্প ছাপা হওয়ার জন্য তপনের প্রতিক্ষা
কৃতার্থ তপন বাড়ি এসে দিন গুনতে থাকে পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার। অবশেষে একদিন ছোটমাসি এবং ছোট মেসো ‘সন্ধ্যাতারা‘ পত্রিকা হাতে তাদের বাড়ি আসলে তপন জানতে পারে যে তার গল্প পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন – মনে হওয়ার কারণ
লেখা ছাপা হওয়ার আনন্দে উচ্ছ্বসিত তপন ভাবে যে সেই দিনই তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। কিন্তু তপনের এই ভুল ধারণা দ্রুত ভেঙে যায় যখন সে বুঝতে পারে যে যেই গল্পটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল সেটি তার লেখা নয়।
তপন এও বুঝতে পারে যে মেসোমশাই ছোটখাটো কারেকশনের নামে গল্পটির সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে তারপর ছাপাতে দিয়েছেন।
যেই দিনটি তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন হতে পারতো তা তৎক্ষণাৎ পরিণত হয় এক বিষাদের দিনে –
“তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”
আরও পড়ুন –
এর মধ্যে তপন কোথা ? – কিসের মধ্যে ? কেন এমন বলা হয়েছে?
নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের – কিভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল ?