দুই বা ততোধিক সাধারণ লবণ ভরের নির্দিষ্ট অনুপাতে একে অপরের সঙ্গে রাসায়নিকভাবে যুক্ত হয়ে তৈরি করে দ্বৈত যৌগ।
দ্বৈত যৌগকে তাদের জলে দ্রাব্যতা পার্থক্যের ভিত্তিতে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় –
- দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ
- সবর্গীয় যৌগ
দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ – সংজ্ঞা
দুই বা ততোধিক প্রশমন বা সাধারণ লবণ নিজের নিজের সংকেত ভরের অনুপাতে যুক্ত হয়ে যদি এমন একটি লবণ উৎপন্ন করে যা কঠিন অবস্থায় তার সংযুতি অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম হলেও জলে দ্রবীভূত করলে গঠনকারী আয়নসমূহতে বিয়োজিত হয়ে যায়, তবে সেই ধরনের অয়নকে বলা হয় দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ।
Read more: অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড অণুর গঠন বর্ণনা করো
দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ এর বৈশিষ্ট্য
১. দ্বৈত বা যুগ্ম লবণ জলে দ্রবীভূত অবস্থায় নিজেদের বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে।
২. কিন্তু, জলে দ্রবীভূত অবস্থায় তাদের গঠনকারী আয়নগুলি নিজেদের বৈশিষ্ট্য হারায় না।
৩. জলে দ্রবীভূত অবস্থায় এই ধরনের লবণ গুলি তাদের গঠনগত আয়নের পরীক্ষায় ধনাত্মক সাড়া (Positive Test) দেয়।
উদাহরণ
দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ এর কয়েকটি উদাহরণ হল-
মোর লবণ
সবথেকে পরিচিত দ্বৈত লবণ বা যুগ্ম লবণ বা দ্বি লবণ। রাসায়নিক নাম – অ্যামোনিয়াম আয়রন (II) সালফেট হেক্সাহাইড্রেট। মোর লবণ এর রাসায়নিক সংকেত Fe(SO4)2(NH4)2SO4·6H2O
মোর লবণ দুটি প্রশম লবণ – ফেরাস / আয়রন সালফেট (Fe(SO4)) এবং অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH4)2SO4) এর সমন্বয়ে গঠিত।
পটাশিয়াম সোডিয়াম টারট্রেট
পটাশিয়াম সোডিয়াম টারট্রেট-ও একটি বহুল পরিচিত দ্বি-লবণ। এটি রচেলি সল্ট নামে সর্বাধিক পরিচিত। রচেলি সল্ট এর রাসায়নিক সংকেত KNaC4H4O6
কার্নালাইট
কার্নালাইট এর রাসায়নিক সংকেত KMgCl3·6H2O
প্রশ্ন
নিচের যৌগদুটির মধ্যে কোনটি দ্বি-লবণ ও কোনটি নয়?
(i) MgCo3.CaCo3, (ii) CuSo4.5H2O
MgCo3.CaCo3 দ্বি-লবণ, কিন্তু CuSo4.5H2O দ্বি-লবণ নয়।