স্বাদু / মিষ্টি জলের থেকে সৃষ্ট ১৫ মিটারের চেয়ে বেশি বরফখন্ডকে হিমশৈল বলা হয়।
হিমশৈল বলতে সমুদ্র জলে ভাসমান পাহাড়ের মতো বিশাল আয়তনের বরফের স্তুপকে বোঝায়। সমুদ্র জলের সংস্পর্শে মহাদেশীয় হিমবাহের বড়ো বড়ো অংশ মূল হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ও সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়। এরা কয়েক হাজার বছরের প্রাচীন হতে পারে। হিমশৈলের বিভিন্ন আকার এবং আকৃতি থাকতে পারে।
হিমশৈল (Iceberg) কথার উৎপত্তি :
হিমশৈলকে ইংরেজিতে বলা হয় Iceberg. Iceberg একটি পর্তুগিজ শব্দ ‘ijsberg’ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।
পর্তুগিজ শব্দ ‘ijsberg’ এর অর্থ হল বরফের পর্বত।
হিমশৈল (Iceberg) সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
হিমশৈলগুলির ১০ ভাগের ১ ভাগ জলের উপরে ভেসে থাকে এবং ১০ ভাগের ৯ ভাগ জলের নীচে ডুবে থাকে।
হিমশৈল সাধারণত মেরুপ্রদেশের বড়ো বড়ো বরফখণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়।
বরফখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এরা সমুদ্রের জলে ভেসে বেড়ায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিমশৈল (Largest iceberg of the world):
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিমশৈলের নাম Iceberg B-015। এটি আন্টার্টিকায় অবস্থিত এবং প্রায় ৩১ হাজার বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এর বিস্তৃতি।
যেহেতু হিমশৈলগুলির বেশিরভাগ অংশ জলের নিচে ডুবে থাকে, তাই জলের ওপর দিয়ে দেখলে এদের প্রকৃত আয়তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায় না।
জলের ওপরে থেকে দেখে ছোট মনে হলেও বাস্তবে প্রকৃত আকার ধারনার বহুগুণ হয়। আজ থেকে প্রায় ১১০ বছর আগে ১৯১২ সালের ১৫ ই এপ্রিল এরকমই এক ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে বিশ্ব বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক এক হিমশৈলের ধাক্কায় এবং ফলস্বরূপ জাহাজে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে জাহাজটি ডুবে যায়।