মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন

বিভিন্ন প্রকার প্রকার বহির্জাত শক্তির মধ্যে অন্যতম হল বায়ুশক্তি

বায়ুশক্তির ফলে ভূমিরূপ গঠনের কাজ অন্যান্য অঞ্চলে দেখা গেলেও মূলত মরু অঞ্চলেই সব থেকে বেশি দেখা যায়।
মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন – তা নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে –

মরু অঞ্চল বা মরুভূমি বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ (১/৩) স্থলভূমি জুড়েই অবস্থান করছে মরুভূমি। মরুভূমির আবহাওয়া এমন কিছু স্বপ্নে বৈশিষ্ট্য আছে যার জন্য সেখানে বায়ুর কাজ প্রাধান্য পায়, নিচে সেই বৈশিষ্ট্য গুলি তুলে ধরা হল।

মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন

মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন : গাছপালার অভাব

মরু অঞ্চলে যেসব কারণের জন্য বায়ুর কাছের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো গাছপালার অভাব।
গাছের শিকড় মাটিকে শক্তভাবে যথাস্থানে আটকে রাখতে সাহায্য করে। গাছপাড়া না থাকার কারণে মরু অঞ্চলে বালুকণার ওপর সরাসরি সূর্যালোক আপতিত হয় এবং প্রচন্ড উত্তাপের ফলে বালুকণা গুলি পরস্পর পরস্পরের থেকে পৃথক হয়ে আলগা হয়ে যায়। বায়ু প্রবাহিত হলে এই আলগা বালুকণা গুলি সহজেই বায়ুর সঙ্গে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় উড়ে যায়।

আলগা বালুকণা:

মরুভূমি গঠিত হয় মূলত বালুকণা দ্বারা। বালুকণা মাটির কণার মত অত জমাটবদ্ধ ভাবে থাকতে পারে না, উপরন্ত বালির কণার আকার ছোট হয় এবং এরা ওজনে খুব হালকা হয়। এজন্য বায়ুপ্রবাহ সহজেই বালুকাকণাকে দূর দূরান্তরে স্থানান্তরিত করতে পারে।

অতিরিক্ত বায়ু প্রবাহ:

মরু অঞ্চলে উদ্ভিদ এবং অন্যান্য কোন বাধা না থাকার কারণে বিস্তীর্ণ ফাঁকা অঞ্চলে বায়ু খুব দ্রুতবেগে প্রবাহিত হয়। এই কারণে মরুভূমিতে বায়ুপ্রবাহের কারণে ক্ষয় খুব বেশি পরিমাণে দেখা যায়। কখনো কখনো বায়ুর বেগ প্রতি ঘন্টায় প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি হয়ে যায়, এই দুরন্ত বাইও বিভিন্নভাবে মরুভূমির ভূমিরূপ গুলির ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।

বৃষ্টির অভাব:

মরু অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের হার খুবই কম। এমন কিছু মরু অঞ্চল রয়েছে যেখানে কোনদিন বৃষ্টিই হয় না। বৃষ্টি হয় না বলে মরু অঞ্চলে তেমন গাছ জন্মাতে পারে না। এবং গাছ না জন্মানোর কারণে বিভিন্ন উপায়ে মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজ ত্বরান্বিত হয়।

যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রাধান্য:

মরু অঞ্চলে সূর্যকিরণের কারণে দিনের বেলাতে প্রচন্ড উত্তাপ এর সৃষ্টি হয়, আবার বিভিন্ন কারণে রাতের বেলা মরু অঞ্চলের তাপমাত্রা খুব কমে যায়। অর্থাৎ মরু অঞ্চলে দিনরাতের মধ্যে তাপমাত্রার প্রসর খুব বেশি – এ কারণে মরু অঞ্চলে যান্ত্রিক আবহবিকার প্রাধান্য পায়। যান্ত্রিক আবহবিকার এর প্রাধান্য পাওয়ার ফলে মরু অঞ্চলে শিলা সহজে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এবং ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে।

এই পোষ্টে – মরু অঞ্চলে বায়ুর কাজের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় কেন – সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যে সকল ছাত্রছাত্রী এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজ করছিল, আশা করা যায়, তারা এর দ্বারা উপকৃত হবে।

এই বিষয় সম্পর্কিত কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে, কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *